সমুদ্রের তীরে, স্বচ্ছ পানির ধাঁরে ঘুরে বেড়াতে কার না ভালো লাগে? আর সেই সমুদ্র সৈকত যদি হয় বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কিছু দ্বীপে অবস্থিত, তবে তা উপভোগ করার ইচ্ছে জাগা টাই স্বাভাবিক। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার থাইল্যান্ড বর্তমানে ২৫-৩০ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক পর্যটকদের স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত আছে - এবং এর বিশেষ একটি কারণ হোল সেখানকার চমৎকার দ্বীপাঞ্চল।
ফুকেট দ্বীপ একটি চোখ-ধাদানো এবং অত্যন্ত রোমাঞ্চকর পর্যটন ঠিকানা। সেখানকার সমুদ্র সৈকত আর আমোদপ্রমোদের ক্রিয়াকলাপ অনেকটা অতুলনীয়। সুধু তাই নয়,আন্দামান সমুদ্রের এই অংশে রয়েছে ফি ফি আইল্যান্ডস, যেখানকার জনবসতিহীন দ্বীপগুলতে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাড়বেন। ফি ফি আইল্যান্ডস এর মূল দ্বীপে আরও রয়েছে বিলাসবহুল হোটেল ও মনোহর রেস্তোরা। আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সাথে নিঁখুত প্রকৃতি অনুভব একই সাথে পাওয়া সম্ভব এই দ্বীপে।
ভ্রমণপথকে বৈচিত্র্যময় রাখতে হলে ক্রাবিতে ঘুরে আসা ভুলা যাবে না। চিরকাল মনে থাকার মতো কিছু মুহূর্তের খোঁজে অফ-শোর দ্বীপের এই রাজ্যে সবার এক বার হলেও যাওয়া উচিত।
বহু দিনের অপেক্ষার পর যদি আপনার ইচ্ছে হয় দৈনন্দিন সহরের জীবনের বেস্ততা থেকে অবসর নিতে, সমুদ্র সৈকতের ভ্রমণের উপর আর কিছু নেই। এবং এই ধরণের অভিজ্ঞতার স্বাদ পাওয়ার সবচেয়ে ভালো ঠিকানা হল দ্বীপ অঞ্চল। দ্বীপ এবং উপকূলীয় পর্যটনের জন্য মহাদেশে অন্যতম জনপ্রিয় জায়গা হোল থাইল্যান্ড। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব থাইল্যান্ডের ৩টি আইকনিক দ্বীপ - ফুকেট, ফি ফি আইল্যান্ডস ও আকাশবর্ণ ক্রাবি অঞ্চল নিয়ে। বাছাই করতে পারছেন না? শেয়ারট্রিপ এর এই ৫ দিন ৪ রাতের ছোট্ট ট্রাভেল গাইডের সাহায্যে ঘুরে আসুন ৩টি তেই।
আপনার পছন্দের পথ বেছে নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে ভেবে নেয়া উচিৎঃ
- ফুকেট, ফি ফি আইল্যান্ড ও ক্রাবিতে কিভাবে যাবেন?
- থাইল্যান্ডের ভিসা-রিকুয়ারমেন্ট কি কি?
- থাইল্যান্ডের সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় কনটি?
- উপকূলীয় থাইল্যান্ডে ৫ দিন ৪ রাত কিভাবে কাটাবেন?
কিভাবে যাবেন?
আপনি শেয়ারট্রিপের মাধ্যমে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে আপনার স্টপেজের জন্য সুলভ মূল্যে বিমান টিকিট পেতে পারেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স উভয়ই ব্যাংককে ফ্লাইট অফার করে। অন্যান্য এয়ারলাইন্স যেমন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, থাই এয়ারওয়েজ এবং এয়ার এশিয়াও থাইল্যান্ডে সরাসরি ফ্লাইট অফার করে থাকে। ব্যাংককে পৌঁছানর পর আপনি বাস কিংবা ডমেস্টীক ফ্লাইটের মাধ্যমে ফুকেট যেতে পাড়েন। বাস যাত্রায় 8-9 ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে ফ্লাইটে মাত্র 1.5 ঘন্টার মধ্যেই আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন।
ফুকেট থেকে ফি ফি আইল্যান্ড যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় ফেরি অথবা স্পিডবোট। আপনার পছন্দের পরিবহনের উপর নির্ভর করে মাত্র ১ থেকে 2 ঘন্টার যাত্রা করতে হবে। ভ্রমণ শুরু করতে, আপনাকে আগে ফুকেট দ্বীপের রাসাদা পিয়ারে পৌঁছাতে হবে। আপনি ফুকেট ওল্ড টাউন বা অন্যান্য এলাকা যেমন পাটং, কারন বা কাতা থেকে ১৫-৪৫ মিনিট ড্রাইভ করে তা করতে পারেন। ভ্রমণের তৃতীয় পর্বে আপনি চলে আসবেন ক্রাবিতে। এই ভ্রমণপথের সবচেয়ে ভালো দিক হল এই, যে দ্বীপ প্রদেশগুলিতে ফেরি দ্বারা যাতায়াত করা খুব সহজ। ফি ফি ডনের টনসাই পিয়ার থেকে ক্রাবির ক্লং জিলাদ পিয়ারে যেতে আপনার প্রায় ৯০ মিনিট সময় লাগবে।
থাইল্যান্ডের ভিসা-রিকুয়ারমেন্ট কি কি?
ভ্রমণের পরিকল্পনা শুরু করার আগে, ভিসা সম্পর্কিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো অপ্রত্যাশিত সমস্যার সম্মুখীন হওয়া থেকে বিরত থাকতে হলে আগে থেকে সব তথ্য জেনে রাখা উচিৎ। একটি থাইল্যান্ড ভিসা পেতে প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা হল একটি বৈধ পাসপোর্ট যার মেয়াদ কমপক্ষে ৭ মাস, আপনার সর্বশেষ পুরানো পাসপোর্ট, গত ৬ মাসে তোলা আপনার সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবির ২ কপি আর ব্যাঙ্ক সলভেন্সি সার্টিফিকেট (প্রত্যেক আবেদনকারীর জন্য ন্যূনতম ব্যালেন্স ৬০,০০০ টাকা) এবং আপনার ভিজিটিং কার্ড সহ গত ৬ মাসের একটি ব্যক্তিগত/কোম্পানি ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট।
ব্যবসায়ী ব্যক্তি, চাকরি ধারক এবং ছাত্রদের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ভিন্ন হয়ে থাকে। ইভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং অন্যান্য নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, সর্বনিম্ন ফি দিয়ে শেয়ারট্রিপ ভিসা টিমের কাছ থেকে ভিসা সহায়তা নিন বা আমাদের ওয়েবসাইট ভিসিট করুন।
আগে থেকে প্রস্তুতি রাখুনঃ
চেষ্টা করবেন যাত্রা শুরুর আগে আপনার ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্টস প্রস্তুত রাখতে। এরপরে, হোটেল, পরিবহন, ক্রিয়াকলাপ এবং খাবারের মতো সব ধরনের খরচ বিবেচনায় রেখে বাজেট নির্ধারণ করুন। এ করে আপনি খরচ সংক্রান্ত সব ধরণের অসুবিধা এড়িয়ে আপনার ভ্রমণ উপভোগ করতে পাড়বেন। ভ্রমণ চলা কালীন চিন্তামুক্ত থাকতে শেয়ারট্রিপের ভ্রমণ বীমা ও তাদের ভ্রমণ প্যাকেজের সুবিধা নিন।
থাইল্যান্ডের সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় কনটি?
যেহেতু ভ্রমণের বেশিরভাগটাই সৈকতে, সুন্দর এবং শুষ্ক রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া এর জন্য সবচেয়ে মানানসই। উপকূলীয় থাইল্যান্ড ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে মনোরম আবহাওয়া ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। তবে এই মাসগুলোতে শহরের আবহাওয়া খুব গরম হতে পারে।
উপকূলীয় থাইল্যান্ডে ৫ দিন ৪ রাত কিভাবে কাটাবেন?
উপকূলীয় থাইল্যান্ডের আশ্চর্যজনক বিস্ময়গুলো সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণের কারণ। নির্মল সৌন্দর্য এবং বিস্তৃত ক্রিয়াকলাপের পাশাপাশি, থাই রান্না বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। আমরা ফুকেট, ফি ফি দ্বীপপুঞ্জ এবং ক্রাবিতে ৫ দিন ৪ রাতের একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছি যা আপনাকে দিবে অল্প সময়ে ওদের সমস্ত দুর্দান্ত জিনিসগুলির স্বাদ নেয়ার সুযোগ।
দিন ১ঃ ফুকেটে আগমন
ভ্রমণের প্রথম দিনটি আপনি ফুকেটের বিশাল দ্বীপে কাটাবেন। সবার আগে হোটেলে সেটেল হয়ে নিবেন। আপনার বাজেট অনুযায়ী আপনার পছন্দ মতো হোটেল বাছাই করুন শেয়ারট্রিপের হোটেলের তালিকা থেকে।
যদি আপনি ফুকেটের প্রাণবন্ততা উপভোগ করতে চান তবে অবশ্যই পাটং যাবেন। এখানে পাবেন জেট স্কিইং, প্যারাসেলিং, বানানা বোট রাইড ইত্যাদির মতো প্রচুর বিনোদনমূলক ক্রিয়াকলাপের সুযোগ। বিচ রোডে আরও রয়েছে অনেক দোকানপাট ও নানা ধরণের স্টল। পাটং নাইটলাইফ বেশ বিখ্যাত এবং থাইল্যান্ডের ক্লাব এবং বারগুলি দেখার জন্য এটি একটি ভালো জায়গা।
আর একটি এলাকা যা ফুকেটে থাকলে মিস করা উচিত নয় হল ওল্ড টাউন। এটি একটি অপেক্ষাকৃত ছোট এলাকা যা আপনি পায়ে হেটেই কভার করতে পাড়বেন। এটি ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ এবং এখানে আছে বিখ্যাত ওয়াকিং স্ট্রিট, একটি দীর্ঘ প্রসারিত রাস্তা যা দোকান, রেস্তোরাঁ এবং বার দিয়ে সারিবদ্ধ।
দিন ২ঃ ফুকেটের মাঝে ঘোরাফেরা
যদি ফুকেটের শান্ত দিক উপভোগ করতে চান, তবে দ্বিতীয় দিনে কাতা নোই বিচ বা কারন বিচ ঘুরে আসুন। গ্রীন এলিফ্যান্ট স্যাঙ্কচুয়ারি পার্ক ফুকেটের সুরিন সৈকতের কাছে একটি বেশ অপূর্ব পর্যটক আকর্ষণ। পার্কের বৃহৎ বাসিন্দাদের সাথে সংযোগ করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা।
কাতা বা কারন-এ থাকাকালীন, আপনি ফুকেট থেকে কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নিতে পাড়েন। ফুকেটের থাই খাবারকে এশিয়ান ফিউশন বলা যায়। অনেক খাবারের স্বাদ মালয়েশিয়ান এবং ভারতীয় খাবার দ্বারা প্রভাবিত। কাতা বিচের কোয়াং সিফুড শপে পেয়ে যাবেন সাশ্রয়ী মূল্যে অসাধারণ সিফুড। ফুকেট ওল্ড টাউনে প্রচুর প্রশংসিত থাই রেস্তোরাঁ রয়েছে। ওখানকার আসল থাই খাবার একবার খেয়ে দেখতে পারলেও এলাকাটিতে যাওয়া ব্যর্থ হবে না আপনার। দিনশেষে ট্র্যাডিশনাল থাই মাসাজ উপভোগ করে শরীরের সব ক্লান্তি দূর করতে পারেন।
দিন ৩ঃ ফি ফির অত্যাশ্চর্য দ্বীপপুঞ্জ
ভ্রমণের ত্রিতিও দিন আপনি ফেরি কিংবা স্পিডবোটে ফুকেট থেকে ফি ফি আইল্যান্ডস এ যেতে পাড়েন। যদিও স্পিডবোট ভ্রমণ আপনার গন্তব্যে পৌঁছানর সবচেয়ে দ্রুত উপায়, ফেরি ভ্রমণে আপনি অন্যান্য পর্যটকদের সাথে পরিচিত হতে পাড়বেন এবং এ আপনার যাত্রার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে। ফি ফি আইল্যান্ড পৌঁছে গেলে, আপনি খুব সুন্দর কিছু রিসর্টের মধ্যে আপনার পছন্দ মতো বাছাই করে নিতে পারবেন। কোহ ফি ফির স্বপ্নময় দ্বীপটিতে বেশ কয়েকটি অবিশ্বাস্য সুন্দর সৈকত আছে। সেখানকার সবচেয়ে সুপরিচিত সমুদ্র সৈকত - টোনসাই বিচ - সেখানকার শান্ত পরিবেশ এবং স্বচ্ছ জলের কারনে সুপরিচিত। তবে লোহ ডালুম বিচ তার থেকেও ভাল একটি আকর্ষণ কারণ এখানে সাঁতার, স্নরকেলিং, কায়াকিং ইত্যাদির মতো ক্রিয়াকলাপের জন্য অনেক বেশি জায়গা রয়েছে। লং বিচ এমন আরেকটি চমৎকার বীচ যা একটি শান্ত এবং নির্জন পরিবেশ প্রদান করে। দিনের সব উত্তেজনাপূর্ণ কার্যক্রমের পর আপনি সেখানকার অত্যন্ত প্রশংসিত রেস্তোরা “বেসিল বিস্ট্রো”-তে রাতের খাবার খেয়ে নিতে পাড়েন। সেখানকার স্থানীয় বাজারে অনেক স্টল এবং রেস্তোরাঁ রয়েছে যা সস্তা অথচ সুস্বাদু থাই খাবার বিক্রি করে।
দিন ৪ঃ কোহ ফি ফিতে নৌকা ভ্রমণ
ফি ফি আইল্যান্ডে দ্বিতীয় দিনে ওখানকার দেখার মতো সব জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে অবশ্যই ঘুরে আসবেন, যেমন - মায়া বে, মাঙ্কি বে, সার্ক পয়েন্ট এবং ভাইকিং কেভ। জায়গাগুলো আপনার নিজের সময় অনুযায়ী ঘুরে বেড়াতে চাইলে তার সবচেয়ে ভালো উপায় একটি লং-টেইল বোট ভাড়া করে নেয়া। ফি ফি আইল্যান্ড এর সব যায়গায় আপনি পেয়ে যাবেন হরেক রকমের বিনোদনের ক্রিয়াকলাপ ও দর্শনীয় স্থান।
দিন ৫ঃ দ্বীপের প্রদেশ ক্রাবি
আপনার থাইল্যান্ড যাত্রা শেষ করুন ক্রাবির আন্দামান উপকূলে। ফি ফি আইল্যান্ড থেকে এখানে আশতে হবে ফেরি করে। হোটেলে চেক-ইন করার পর ঘুরে আসুন এক অদ্ভুত বিস্ময় দেখতে। ক্রাবির ক্লাং কেভ একটি স্ট্যালাকটাইট এবং স্ট্যালাগমাইট গুহা। এটি এশিয়ার ২য় সবচেয়ে সুন্দর গুহা হিসাবে স্থান পেয়েছে এবং ক্রাবিতে ঘুরতে গেলে অবশ্যই এটি দেখার একটি দেখার মতো জায়গা। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা মুসলিম হওয়ায় এটি মুসলিম পর্যটনের জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে একটি প্রধান গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হয়। তার মানে এই যে বিভিন্ন হালাল থাই রেস্তোরার খাবার খেয়ে দেখার জন্য এটি একটি উত্তম জায়গা।
আপনার থাইল্যান্ড ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন শেয়ারট্রিপ এর সাহায্যে!
শেয়ারট্রিপ ফ্লাইট-বুকিং এবং হোটেল-সম্পর্কিত পরিষেবাগুলির পাশাপাশি থাইল্যান্ডে কাস্টম ভ্রমণ প্যাকেজ সরবরাহ করে থাকে। গ্রাহক সেবায় দক্ষতার কারণে হাজার হাজার ভ্রমণকারী শেয়ারট্রিপকে তাদের ভ্রমণ সংস্থা হিসেবে বেছে নেয়। তারা বিশেষ করে তাদের অ্যাপের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্য এবং ডিসকাউন্টও অফার করে। বাকি তথ্যের জন্য অনুগ্রহ করে নিচে দেয়া মাধ্যমগুলোতে যোগাযোগ করবেনঃ
ওয়েবসাইট: https://.sharetrip.net
আমাদের ইমেল করুন: ask@sharetrip.net
হটলাইন: +880 9617 617617
থাইল্যান্ডের আরও পর্যটন ঠিকানা নিয়ে আমরা আমাদের সামনের ব্লগগুলোতে আলোচনা করবো।