'সিটি অব গোল্ড' নামে খ্যাত দুবাই বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল স্থাপত্যের লীলাভূমি। চোখধাঁধানো শপিংমল এবং সুউচ্চ দালান থেকে শুরু করে মানবসৃষ্ট দ্বীপপুঞ্জ- আমিরাতি এই শহরে সকল পর্যটকের জন্যই আছে নানবিধ আয়োজন। শুধু স্থাপত্যশৈলীই নয়, সংস্কৃতির চর্চায়ও বেশ এগিয়ে আছে শহরটি। চাকচিক্যে পরিপূর্ণ দুবাই তাই হয়ে উঠেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল্টিমেট টুরিস্ট ডেস্টিনেশন।
৩৫ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এই শহরটিকে ঘিরে ইতোমধ্যেই আবর্তিত হয়েছে নানা ধরনের ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং টুরিস্ট অ্যাক্টিভিটি, এতে করে কোন স্পটটি আগে ঘুরবেন কিংবা কোনটা রেখে কোনটা ঘুরবেন তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।
তাই পর্যটকদের সুবিধার্থে আজকের ট্রাভেল গাইডে আমরা দেখে নিবো দুবাইয়ের ১০টি টপ টুরিস্ট ডেস্টিনেশন যা আপনার দুবাই ভ্রমণকে স্মরণীয় করে তুলবে।
বুর্জ খলিফা
পর্যটকদের কাছে দুবাইয়ের প্রধান আকর্ষণ হলো বুর্জ খলিফা (Burj Khalifa)। শুধুমাত্র বুর্জ খলিফা দেখার উদ্দেশ্যে এখানে ছুটে এসেছেন-এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়; আর এমনটি হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ হলো এই টাওয়ারটি পৃথিবীর উঁচু দালানের তালিকায় প্রথম। ২,৭০০ ফুটেরও বেশি উঁচু এই ভবনটি থেকে নান্দনিক শহরটির ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পেতে কিংবা টাওয়ারে অবস্থিত যেকোনো রেস্তোরাঁয় বসে বাহারি সব কুইজিনের স্বাদ নিতে প্রতিদিন হাজারো পর্যটকদের আগমন ঘটছে এই স্থানে। আপনার দুবাই ট্রিপকে আরও মজাদার করে তুলতে এখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন আর্ট গ্যালারি, সর্বোচ্চ অবজারভেশন ডেকসহ রকমারি সব আয়োজন।
বুর্জ খলিফার টপ ফ্লোর থেকে রাজকীয় শহর দুবাইয়ের ভিউ পেতে চাইলে আপনাকে চলে যেতে হবে অবজারভেশন ডেকে। তবে এই ভিউ উপভোগ করতে হলে আপনাকে কাটতে হবে টিকেট এবং পর্যটকদের চাহিদা আর সিজন অনুযায়ী টিকেটের মূল্যের কিছুটা তারতম্য হতে পারে। বুর্জ খলিফাতে আপনি দুই ক্যাটাগরির টিকেট পাবেনঃ প্রিমিয়াম বা ‘At The Top SKY’ আর নন-প্রিমিয়াম বা ‘At The Top’। নন-প্রিমিয়াম টিকেটের মাধ্যমে আপনি উপভোগ করতে পারবেন বুর্জ খালিফার ১২৪ এবং ১২৫ তম তলার ভিউ আর ফিচার্স। আর এই ‘At The Top’ ক্যাটাগরির প্রতিটি টিকেটের মূল্য থাকছে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ১৫০ দিরহাম থেকে ২৫০ দিরহাম এবং শিশুদের ক্ষেত্রে ১৩০ দিরহাম থেকে ১৬০ দিরহাম। আপনি যদি আপনার বুর্জ খলিফা ট্রিপ কে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে চান, তাহলে প্রিমিয়াম টিকেট কেটে চলে যান দালানটির ১৪৮তম ফ্লোর এ আর উপভোগ করুন দুবাই শহরের এক অপার্থিব রূপ। এই ‘At The Top SKY’ এর টিকেটের প্রাইস থাকছে ৩৫০ থেকে ৫০০ দিরহাম, যা প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। দুধরনের টিকেটেই ৪ বছর কিংবা এরচেয়ে কমবয়সী শিশুদের এন্ট্রি ফ্রী। তবে বুর্জ খলিফা কর্তৃপক্ষের সিধান্তের ভিত্তিতে যেকোনো সময় টিকেটের মূল্য পরিবর্তিত হতে পারে। এছাড়াও বুর্জ খলিফার সাথে সংযুক্ত রয়েছে একটি বিশাল শপিংমল, যেখানে প্রিয়জনের সাথে ঘুরে কাটাতে পারেন দুর্দান্ত কিছু মুহূর্ত।
দ্য দুবাই ফাউন্টেন
দ্য দুবাই ফাউন্টেন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মিউজিক্যাল ফোয়ারা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং সঙ্গত কারণেই এটি পর্যটকদের মন জয় করে নিয়েছে। লোকেশনের দিক থেকে এটি ভ্রমণকারীদের যাতায়াতের জন্য বিশেষভাবে সুবিধাজনক, কেননা এটি দুবাই মেইন সিটির বুর্জ খলিফার ৩০-একর লেকের উপর অবস্থিত। এখানকার ‘কোরিওগ্র্যাফড ওয়াটার শো’-টি নজরকাড়া একটি দৃশ্য যেখানে আরও রয়েছে ৫০০ ফুট পর্যন্ত জেট-শুটিং দেখার সুযোগ। বাতাসে প্রায় ২২,০০০ গ্যালন পর্যন্ত পানি স্প্রে করার ক্ষমতাসম্পন্ন এই ফোয়ারাটি প্রায় ৫০ তলা ভবনের উচ্চতায় উঠতে সক্ষম।
দ্য দুবাই মল
বিশ্বের নামকরা শপিংমলের তালিকায় অন্যতম দুবাই শপিংমল হচ্ছে দুবাইয়ের সবচেয়ে বড় শপিংমল যা নিঃসন্দেহে এখানকার টপ টুরিস্ট ডেস্টিনেশনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য । শপিংমলটি আয়তনে প্রায় ৫০টি ফুটবল মাঠের সমান যেখানে রয়েছে ১২০০ এর-ও বেশি সংখ্যক দোকান, ফলে এখানে পেয়ে যাবেন ছোট-বড় সকলের জন্য পছন্দনীয় নানা পণ্য। শপিংপ্রেমীদের জন্য দুবাই মল বিশেষভাবে রেকমেন্ডেড, কেননা এখানে একই বিল্ডিং-এ পাবেন নামীদামী সব ব্র্যান্ডের লাক্সারিয়াস এবং সুপার লাক্সারিয়াস পণ্যের বাহার। রাত-দিন সবসময়ই মলটিকে দেখতে পাবেন দর্শনার্থী ও পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত এবং ব্যস্ত। এমনকি, মল-এ আয়োজিত বিভিন্ন লোকাল এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টে আপনি অংশগ্রহণ করতে পারেন নিমিষেই। দুবাই মল-এ আরও আছে বিশাল একটি ফুড কোর্ট যেখানে পাবেন কন্টিনেন্টাল, এরাবিক, টার্কিশসহ নানা ধরনের মুখরোচক খাবারের আয়োজন। তাই আপনার পছন্দ যেটাই হোক না কেনো, দুবাই মল-এ প্রায় সব ধরনের খাবারই এভেইল্যাবল রয়েছে। এছাড়াও, আপনাকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রয়েছে অসংখ্য ফ্রন্ট ডেস্কস।
আপনার বাবা-মা কিংবা পরিবারের বয়স্কদের শপিং এক্সপেরিয়েন্সকে আরও আরয়ামদায়ক করতে দুবাই মল-এ আছে বিশেষভাবে তৈরী সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট এবং বিশুদ্ধ পানির ফোয়ারা। এসকল আয়োজন ছাড়াও দুবাই মল-এ আপনি দেখতে পাবেন একটি আই-ক্যাচি অ্যাকোয়ারিয়াম, আইস রিঙ্ক এবং সিনেমা কমপ্লেক্স। শপিং-এর মাঝে একটু ব্রেক নেওয়ার জন্য মলটিতে আছে প্রচুর রেস্তোঁরা এবং ক্যাফে। বিশাল আকৃতির এই মলটি এক্সপ্লোর করতে যদি পুরোটা দিনও লেগে যায়, তবুও নিঃসন্দেহে তা বিফলে যাবেনা।
দুবাই অ্যাকুরিয়াম এ্যান্ড আন্ডারওয়াটার জু
মরুর দেশে ভ্রমণের এক ফাঁকে যদি সমুদ্রে থাকা জলজ প্রাণি তথা অ্যাকোয়্যাটিক লাইফের থ্রিলিং অনুভূতি নিতে চান, তবে দুবাই অ্যাকুরিয়াম এ্যান্ড আন্ডারওয়াটার জু হবে আপনার ফার্স্ট চয়েস। পৃথিবীর আকর্ষণীয় সব অ্যাকুরিয়ামের তালিকায় অনন্য এই অ্যাকুরিয়াম মূলতঃ ১০ লক্ষ মিলিয়ন লিটারের বিশাল একটি পানির ট্যাংক যা ধারণ করে প্রায় ৩৩,০০০ জলজ প্রাণি। ছোট-বড় সকলেই নানা আঙ্গিকে উপভোগ করতে পারেন এই স্থানটি। বিশ্বব্যাপী এই অ্যাকুরিয়ামটির ব্যাপক জনপ্রিয়তার মূ্ল কারণ হলো ওয়াটার ট্যাংকটির ডিজাইন এবং এটিকে কেন্দ্র করে সাজানো এক্সাইটিং নানা অ্যাক্টিভিটি। প্রায় ৫১ মিটার দীর্ঘ এই ট্যাংকটির রয়েছে ২০ মিটার প্রশস্ততা এবং ১১ মিটার উচ্চতা যা আপনাকে পুরোপুরি অ্যাকোয়্যাটিক অনুভূতি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রিয়জনের হাত ধরে এই সচ্ছ কাঁচঘেরা টানেলটি ঘুরে উপভোগ করতে পারেন বিচিত্রসব সামুদ্রিক প্রাণির বিচরণ, আর হারিয়ে যেতে পারেন সামুদ্রিক জীবনের এক কল্পনার জগতে।
আরও মজার ব্যাপার হলো, এই ৪৮ মিটারে টানেলের মধ্যেই আপনি পাবেন নানা প্রজাতির হাঙ্গর, রে ফিশসহ হাজারো বিচিত্র প্রাণির প্যানারোমিক ভিউ। সেই সাথে আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলিকে সমৃদ্ধ করতে রয়েছে গ্লাস-বটম ট্যুর বা কাঁচের নৌকায় করে ভ্রমণের সুযোগ, সুইম উইথ শার্ক আর স্নোরকেলিং কেইজের মতো রোমাঞ্চকর সব অ্যাক্টিভিটি। এমনকি, আপনি যদি আপনার মেয়েকে কিছু মুহূর্তের জন্য দেখতে চান জলপরীর বেশে, তবে তা-ও সম্ভব; ‘মারমেইড মেকওভার’ রয়েছে আপনার এই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তব রূপ দিতে।
পাম জুমেইরাহ
দুবাইয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির উদাহরণ দিতে হলে পাম জুমেইরাহ-এর কথা না বললেই নয়। আইকনিক ল্যান্ডমার্ক হিসেবে স্বীকৃত এই নির্মাণশৈলীর সবচেয়ে অবাক করা দিকটি হলো, এটি একটি মানবসৃষ্ট দ্বীপ। কৃত্রিম এই দ্বীপটি তৈরী করা হয়েছে পামগাছের আকৃতিতে। এক্সক্লুসিভ হোটেল, বিলাসবহুল প্রাইভেট রেসিডেন্স, শপিং এর সুব্যবস্থা কিংবা হাজারো রেস্তোরাঁ– কি নেই এখানে! পাম জুমেইরাহ-এর আরেকটি সুবিধা হলো, এর ভিতরে যাতায়াত ভাড়া তুলনামূলক কম; সুতরাং দ্বীপটি ঘুরে দেখতে চাইলে সহজেই বেছে নিতে পারেন একটি ফোর হুইলার।
পর্যটকদের জন্য পাম জুমেইরাহ-এর বেশ কয়েকটি সৈকত আছে, যেখানে রয়েছে রিল্যাক্সিং বীচটাইম কাটানোর সকল আয়োজন। এতসব ছাড়াও আইল্যান্ডটিতে আপনি পাচ্ছেন হেলিকপ্টার রাইড কিংবা প্রাইভেট ইয়ট ভাড়া করে সমুদ্র ভ্রমণ করার মত এক্সাইটিং সব অ্যাক্টিভিটি। সবকিছু মিলিয়ে পাম জুমেইরাহ শুধুমাত্র পর্যটকদের কাছেই নয়, দুবাইবাসীর মধ্যেও অভাবনীয় মাত্রায় জনপ্রিয়।
দ্য দুবাই ডেজার্ট সাফারি
‘দুবাই’ নামটি শুনলেই যেকোনো ভ্রমণপ্রেমীর মনে যেন ভেসে ওঠে দিগন্তজোড়া মরুভূমির এক মনভোলানো দৃশ্য। ঝকঝকে নীল আকাশের নীচে বালুকাময় সৈকত আর কিছুটা উষ্ণ আবহাওয়ার এক পারফেক্ট কম্বিনেশন উপভোগ করতে পৃথিবীর প্রায় সব প্রান্ত থেকে হাজারো পর্যটক ছুটে আসেন আমিরাতের এই শহরে। উটের পিঠে চড়া থেকে শুরু করে হাইকিং- কোনও আয়োজনেই পিছিয়ে নেই এই নগরী। দুবাইয়ের একরাশ মনমাতানো অ্যাক্টিভিটির মধ্যে পর্যটকদের টু-ডু লিস্টে শীর্ষে থাকে ডেজার্ট সাফারি। আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি ফোর হুইলারে চড়ে, উটের পিঠে সওয়ার হয়ে, মাউন্টেইন বাইক কিংবা সার্ফিং করে প্রিয় মানুষটিকে সাথে নিয়ে নিমিষেই ঘুরে দেখতে পারেন বিস্তীর্ণ এই মুরুভূমি।
স্কাইডাইভ দুবাই
নবাগত টুরিস্টদের মাঝে ইতোমধ্যে দুবাইয়ের যে আকর্ষণটি সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছে তা হলো স্কাইডাইভ দুবাই যা অন্য যেকোনো অ্যাক্টিভিটির তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। তাই আপনার উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে রোমাঞ্চকর অনুভূতির শিহরণে হারিয়ে যাওয়া, তবে স্কাইডাইভ দুবাই আপনার জন্য পারফেক্ট চয়েস। প্লেনের কক্ষ থেকে মুক্ত আকাশে লাফিয়ে পড়ার চেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ অনুভূতি আর কী-ই বা হতে পারে! দুবাইয়ের মনোমুগ্ধকর স্কাইলাইন যেন এক ক্যানভাস, যা আপনার স্কাইডাইভ এক্সপিরিন্সে যোগ করবে এক নতুন মাত্রা। তাই আপনার দুবাই ট্রিপকে অসাধারণ করে তুলতে নিঃসন্দেহে স্কাইডাইভ দুবাই রাখতে পারেন আপনার বাকেট লিস্টে।
দুবাই ফ্রেম
পর্যটকদের তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো আরেকটি আকাশছোঁয়া স্থাপনার নাম দুবাই ফ্রেম। ১৫০ মিটার লম্বা এই ফ্রেমটি তৈরী করা হয়েছে দুবাইয়ের প্রাচীনকালে ব্যবহৃত ফটোফ্রেমের ডিজাইনে। ফ্রেমটির টপ ফ্লোর থেকে পুরো দুবাই শহরের চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। এছাড়াও রয়েছে দুবাই মিউজিয়াম ঘুরে দেখার সুযোগ, যেখানে গেলে জানা যাবে বিশ্বের অন্যতম ধনী এই শহরের ইতিহাস আর সংস্কৃতি সম্পর্কিত বিভিন্ন ইন্টারেস্টিং তথ্য।
দুবাই মিরাকেল গার্ডেন
আপনার দুবাই ট্রিপটি যদি হয় পরিবার নিয়ে, তাহলে দুবাই মিরাকেল গার্ডেন মিস করা একদমই উচিত হবে না। কেননা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফ্লোরাল ডিসপ্লের খেতাবপ্রাপ্ত এই গার্ডেনে দেখতে পাবেন ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি বৈচিত্র্যময় ফুল। ফুলের এ বিশাল সমারোহ মিষ্টি সুবাসে ভরিয়ে রাখে প্রায় ৭২,০০০ বর্গমিটারের বাগানটিকে, আর তাই তো এই অঞ্চলের সবচেয়ে সুবাসিত জায়গা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এটি।
দুবাই মিরাকেল গার্ডেনের অসংখ্য টুরিস্ট স্পটের মধ্যে সবচেয়ে নজরকাড়া নিদর্শন হলো সম্পূর্ণ আসল ফুল দিয়ে তৈরী এয়ারবাস A38 বিমানের লাইফসাইজ রেপ্লিকা। পাশাপাশি এই টুরিস্ট স্পটের ভিতরে রয়েছে একটি বাটারফ্লাই গার্ডেন, যেখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন ২৬টি ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৫,০০০ প্রজাপতি। পাশাপাশি, এখানে আরও রয়েছে ফ্লোরাল ক্লক, আম্ব্রেলা টানেল আর সানফ্লাওয়ার ফিল্ডের মত অনন্যসব নিদর্শন, যেগুলোর জন্য স্থানটিকে পৃথিবীর অন্যতম একটি সেরা আকর্ষণ বললেও ভুল হবে না। হয়তো ভাবছেন, ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে গেলে খাবারের ব্যবস্থা কি করে করবেন? আপনাকে যথাযথভাবে আপ্যায়ন করতে দুবাই মিরাকেল গার্ডেনে রয়েছে ৩০টিরও বেশি ফুড স্টল, যেখানে আপনি পেয়ে যাবেন নানাবিধ খাবারের সমাহার। সব মিলিয়ে, আপনার ভ্রমণের তালিকায় দুবাই মিরাকেল গার্ডেন নিশ্চয়ই রাখতে পারেন ।
দুবাই ওয়াটার ক্যানেল এ্যান্ড দুবাই মেরিনা
কিছুটা সময় আনমনে হেঁটে চলা কিংবা সাঁতার কেটে একঘেঁয়েমি দূর করা- উদ্দেশ্য আপনার যেটাই হোক না কেন, দুবাই ওয়াটার ক্যানেলের আভিজাত্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। শুধু মনোমুগ্ধকর সাইটসিইং-ই নয়; আন্তর্জাতিক মানের রেস্তোরাঁ ও ক্যাফের এক বিশাল সমাহার আপনার সময়কে করে তুলবে আনন্দময়। দুবাই ওয়াটার ক্যানেলে আরোও দেখতে পাবেন কচ্ছপ, মাছ এবং ডলফিনসহ বেশকিছু সামুদ্রিক প্রাণি। সাঁতার বা স্নোরকেলিং করার জন্যও চোখ বন্ধ করে চলে আসতে পারেন এখানে। সেই সাথে প্যাডেলবোর্ডিং করে লুফে নিতে পারেন চমৎকার এক এডভেঞ্চারাস এক্সপেরিয়েন্স। তাই বলা যায়, আপনার যেকোন প্ল্যানেই দুবাই ওয়াটার ক্যানেল আপনাকে সম্পুরণভাবে এন্টারটেইন করবে।
দুবাই মেরিনা কেন শহরের টপ ভিজিটিং স্পটগুলোর একটি, যা অধিকাংশ মানুষেরই জানা। কৃত্রিম এই ক্যানেলটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শপিংমল, রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে ওয়াটার স্পোর্টস এবং ক্রুজ রাইডের সুযোগ। দুবাইয়ের সেরা লাক্সারিয়াস হোটেলের অভিজ্ঞতা নিতে নির্দ্বিধায় বেছে নিতে পারেন দুবাই মেরিনা।
আপনার দুবাই ট্রিপ প্ল্যান করুন শেয়ারট্রিপ-এর সাথে!
এতসব অ্যাক্টিভিটির সমন্বয়ে আপনার ট্রিপটি প্ল্যান করতে এবং সেটিকে স্বচ্ছন্দ ও আরামদায়ক করতে রয়েছে শেয়ারট্রিপ। শেয়ারট্রিপ আপনাকে দিচ্ছে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে সর্বনিম্ন ফ্লাইট ভাড়ার নিশ্চয়তা, সাথে থাকছে আপনার চাহিদা ও বাজেট অনুযায়ী হোটেলের অসংখ্য অপশন। এছাড়া, আমাদের ভিসা প্রসেসিং সার্ভিসে আপনি পাচ্ছেন দুবাই ভিসার প্রয়োজনীয় সকল সার্ভিস। যেকোনো ইনফরমেশনের জন্য আমাদের মেইল করুন vacation@sharetrip.net এই ঠিকানায়, আরও জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট www.sharetrip.net অথবা ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল অ্যাপ।