শেয়ারট্রিপের ডিস্কাউন্টের সাথে সিলেট হোটেল বুকিং এখন আরও সহজ!
সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, চা-বাগান ও আদিবাসী গ্রামসহ অনেক কিছু রয়েছে। এখানে গেলে হযরত শাহ্ জালাল ও শাহ্ পরাণ (রাঃ) এর সময়কার বিভিন্ন স্থাপনা ও ঐতিহ্যের দেখা পাওয়া যায়। বর্তমানে খুব কম খরচে সিলেট টুরে গিয়ে এখানকার সৌন্দর্য্য ও সংস্কৃতি উপভোগ করে আসতে পারবেন। টুরে গিয়ে থাকার জন্য গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট, নুরজাহান হোটেল সিলেট ও পানসি হোটেল সিলেট-এর মত দারুণ সব হোটেল পাবেন।
সিলেট শহরের আবাসিক হোটেল
সিলেটে হোটেল বুকিং নেওয়া বেশ সহজ। এখানে বিলাসবহুল ও কম খরচ দুপ্রকার হোটেলই আছে। বিভিন্ন সুবিধা ও সাজসজ্জার উপর ভিত্তি করে আমরা বেশ কিছু হোটেলের তালিকা করেছি। যেমনঃ গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট, রোজ ভিউ হোটেল, হোটেল নূরজাহান গ্র্যান্ড সিলেট, পানসি হোটেল সিলেট, হোটেল গ্র্যান্ড মুস্তাফা, হোটেল ভ্যালী গার্ডেন ইত্যাদি। হোটেলগুলোতে থাকা, খাওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল আরাম-আয়েশের ব্যবস্থা আছে। সবচেয়ে বড় কথা, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সকল রকমের অতিথিদের জন্য এখানে রুম পাওয়া যায়। চলুন জেনে নিই হোটেলগুলোতে কি কি সুবিধা পাবেনঃ-
গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট
গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট সিলেট এয়ারপোর্ট থেকে মাত্র ১ কিমি দূরের একটি পাঁচ তারকা হোটেল। এটা দেশের বিলাসবহুল হোটেলগুলোর মধ্যে উপরের সারিতে থাকবে। এখানকার সব রুমে ওয়ারড্রোব, মিনিবার, কফি কেটল, টিভি ও সেফটি ডিপোজিক বক্স আছে। রুমের সাথে বড় ব্যক্তিগত ওয়াশরুম ও টেরেস আছে। এছাড়া আমেরিকার, চাইনিজ ও সামুদ্রিক খাবারের জন্য এখানে রেস্তোরা আছে। অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে বিশেষ তত্ত্বাবধানে রান্না করা হালাল ও ভেজিটেরিয়ান খাবার পাবেন। হোটেলে সময় কাটানোর জন্য স্পা, ফিটনেস সেন্টার, সুইমিং পুল ও আর্কেড গেম খেলার ব্যাবস্থা আছে।
-
ঠিকানাঃ বড়শোলা, এয়ারপোর্ট রোড, সিলেট
রোজ ভিউ হোটেল
এয়ারপোর্ট থেকে ১১ কিমি দূরে শহরের প্রাণকেন্দ্রে রোজ ভিউ হোটেল অবস্থিত। হোটেলের রুমগুলো বেশ বড় ও রুমে টেবিলসহ সকল আসবাবপত্র আছে। সব রুমের সাথে মিনিবার আছে যা বিদেশী অতিথিরা পছন্দ করে। এছাড়া ওয়াশরুমে হেয়ার ড্রাইং ও শাইনিং-য়ের সুবিধা পাবেন। বিশ্রাম নেবার জন্য এখানে সোয়ানা ও হট টাব আছে। মাল্টি ক্রুজিন ডিনার করতে পীয়ার অরিয়েন্ট রেস্তোরা আর ভারতীয় খাবার খেতে প্যাকটুন রেস্তোরা পাবেন। হোটেলটিতে বিশেষ সুবিধা হিসেবে এয়ারপোর্ট শাটল বাস, রুমে বসে নাস্তার ব্যাবস্থা আর সুন্দর ফিটনেস সেন্টার পাবেন।
-
ঠিকানাঃ শাহজালাল উপশহর, সিলেট
হোটেল নূরজাহান গ্র্যান্ড সিলেট
হোটেল নূরজাহান গ্র্যান্ড সিলেট সিলেটের অন্যতম চার তারকা হোটেল। ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮ কিমি দূরের এই হোটেলটি বেশ চাকচিক্যময়। ফ্যামিলি নিয়ে একসাথে থাকার জন্য বড় রুম পাওয়া যায়। এখানকার মূল আকর্ষণ বড় টেরেস, সুইমিং পুল আর ফিটনেস সেন্টার। প্রতিটি রুমের জানালা থেকে শহরের সৌন্দর্য্য দেখতে পারবেন। আবার প্রতিদিন সকালে ৭ টা থেকে ১০টার মধ্যে হোটেলের পক্ষ থেকে নাস্তা পাওয়া যায়। লাঞ্চ ও ডিনারের জন্য এখানে ভাল মানের রেস্টুরেন্ট আছে। হোটেল থেকে এয়ারপোর্টে যেতে বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা আছে।
-
ঠিকানাঃ ওয়েভস ১, রিজ টাওয়ার, দরগাহ গেট, সিলেট
হোটেল পানসি ইন সিলেট
সাদা রঙের আবহে মোড়ানো হোটেল পানসি ইন সিলেট। ওসমানি জাদুঘর থেকে ৪ মিনিট হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত হোটেলটি। বিভিন্ন কর্পোরেট ও পারিবারিক অনুষ্ঠান করার জন্য হোটেলটি ভাল হবে। এখানকার রেস্তোরাতে লাঞ্চ, ডিনার ও বার্বিকিউ করার জন্য ভাল ব্যাবস্থা আছে। কম খরচে থাকার জন্য এটা সিলেটের সেরা আবাসিক হোটেল। হোটেলে অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে বেবিসিটিং সার্ভিস পাওয়া যায়। হোটেল থেকে শাটল বাসে সরাসরি বিমানবন্দরে যাওয়া যায়।
-
ঠিকানাঃ ডব্লিউ টাওয়ার, নর্থ জেইল রোড, সিলেট
হোটেল গ্র্যান্ড মুস্তাফা
বর্তমানে গ্র্যান্ড মুস্তাফা হোটেল আবাবিল নামে পরিচিত এই হোটেলটি ওসমানী বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৯কিমি দূরে অবস্থিত। হোটেলটির মূল আকর্ষণ বাগান, সুবিশাল লাউঞ্জ, টেরেস ও রেস্তোরা। রুমগুলো অনেক গোছগাছ করে রাখা। রুমের সাজসজ্জা হানিমুন বা ফ্যামিলি টুরের জন্য বেশ মানানসই। এখানকার রেস্তারাতে সকালে ব্যুফে ব্রেকফাস্টের সুবিধা আছে। অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে প্রত্যেক রুমে আলাদা ফ্রিজ আছে। গাড়ি নিয়ে টুরে গেলে আন্ডার গ্রাউন্ড পার্কিংয়ে রাখতে পারবেন।
-
ঠিকানাঃ দরগাহ গেট, সিলেট
হোটেল ভ্যালী গার্ডেন
হযরত শাহজালাল (রাঃ)-এর মাজার থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে গেলেই হোটেল ভ্যালী গার্ডেন খুঁজে পাবেন। তেমন বিলাসীতা না করে সাধারণ ভাবে থাকার জন্য হোটেলটি বেশ ভাল হবে। এখানকার রুমগুলো পরিপাটি, সাথে ড্রেসিং টেবিল, সোফা ও চেয়ারের মত আসবাবপত্র আছে। প্রত্যেক রুমে ব্যক্তিগত ওয়াশরুম, মিনিবার, ফার্স এইড কিট ও কফিমেকার আছে। এখানে দেশী এবং ভারতীয় খাবার পাবেন। আবার বারবিকিউ করার সুবিধা আছে। হোটেল থেকে সহজেই মালনিছড়া চা বাগার ঘুরে আসতে পারবেন।
-
ঠিকানাঃ সিলেট টাওয়ার, সোবহানি ঘাট, বিশ্বরোড, সিলেট
সিলেট শহরের দর্শনীয় স্থান
ভিন্ন ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতির মিলনমেলা সিলেট শহর। সারা শজরের মধ্যে ও কাছাকাছি অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রাকৃতিক নিদর্শন আছে। সিলেটের প্রাচীন ইতিহাস জানতে হলে আপনি হযরত শাহপরাণের মাজার, আলী আমজাদের ঘড়িঘর, ক্বিন ব্রিজ ও ওসমানী জাদুঘরে যেতে পারেন। আবার প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে সুরমা নদী, লাক্কাতুরা চা বাগান ও শুকতারা প্রকৃতি নিবাসের মত জায়গাগুলো ঘুরে আসতে পারেন। চলুন এসব জায়গাতে কি কি দেখা যাবে সেসম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।
শাহপরাণের মাজার
হযরদ শাহজালাল (রাঃ)-এর ভাগনে ছিলেন হযরত শাহপরাণ (রাঃ)। সিলেট শহর থেকে ১০ কিমি পূর্বদিকে খাদিমপাড়ায় বটগাছের ছায়াতে তার মাজার অবস্থিত। মাজারে টিলায় ওঠানামা করার জন্য সিঁড়ি আর পাঁচশ মানুষের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটা মসজিদ আছে।
সিলেট শাহী ঈদগাহ
১৭০০ শতকে নির্মিত সিলেটের শাহী ঈদগাহ। মোগল ফৌজদার ফরহাদ খাঁ-এর নির্মিত এই ঈদগাহের নির্মাণশৈলী বেশ রাজকীয়। এখানে ১০টি গেট আছে আর প্রায় দেড় লাখ মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে। এই মসজিদের টিলার উপরেই বন কর্মকর্তার বাংলো অবস্থিত।
আলী আমজাদের ঘড়িঘর
সিলেটের কুলাওড়াতে জমিদার ছিলেন আলী আমজাদ। সুরমা নদীর তীরের চাঁদনীঘাটে অবস্থিত তার ঘড়িঘর। দিল্লিতে শাহজাদী জাহানারার ঘড়ির সংগ্রহ দেখে অভিভূত হয়ে দিনি নিজের বাসায় ঘড়ির সংগ্রহশালা তৈরি করেন। তার ঘড়িঘরের চূড়ায় ৯ ফুট লম্বা একটা ঘড়ি আছে।
ক্বিন ব্রিজ
১৯৩৬ সালে ব্রিটিশদের হাতে নির্মিত হয় ক্বিন ব্রিজ। সিলেটের সুরমা নদীর উপর অবস্থিত ব্রিজটি লম্বায় প্রায় ১১৫০ ফুট। ১৯৭১ সালে যুদ্ধে ব্রিজটির একাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও পরে আশির দশকে এটা সংস্কার করা হয়। ব্রিজটিকে সিলেট শহরের প্রবেশদ্বার বলা হয়।
ওসমানী জাদুঘর
স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম খ্যাতিমান জেনারেল আতউল গলি ওসমানীর বাসস্থল সিলেটে। এখানে তিনটি গ্যালারিতে জেনারেল ওসমানীর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন ছবি দেখা যায়। এছাড়া বেতের আসবাবপত্র, ব্রিফকেস, জামাকাপড়, টেলিফোনসহ অনেককিছু দেখতে পারবেন।
লাক্কাতুরা চা বাগান
সিলেটের চৌকিঢাকী উপজেলায় বিমানবন্দরের কাছে অবিস্থিত লাক্কাতুরা চা বাগান। ৩২০০ একরের এই চা বাগানে চা ছাড়াও কমলা, সুপারি, ট্যাং-সহ অনেক রকম আতর ও আগর গাছ রয়েছে। এখানে উঁচু-নিচু টিলাতে হেঁটে সময় কাটানো যায়।
শুকতারা প্রকৃতি নিবাস
সিলেট মূল শহর থেকে মাত্র ৭ কিমি দূরে শুকতারা প্রকৃতি নিবাস অবস্থিত। একটা পাহাড়ের উপরে শৈল্পিক স্থাপত্যশৈলীর সাথে এটা বানানো হয়েছে। এখানে অনেক কটেজ, রেস্তোরা, লাইব্রেরি আর শিশুদের খেলার জিনিস রয়েছে।
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বাংলাদেশের একমাত্র মিঠা পানির বন হিসেবে বিখ্যাত। এখানে বিভিন্ন পশুপাখি-সহ ৫০৪ একরের জঙ্গল রয়েছে। শীতকালে হাজারো রকমের অতিথি পাখির মেলা উপভোগ করা যায়।
সিলেট যাবার সবচেয়ে সহজ উপায় ও খরচ
ঢাকা থেকে সিলেট যাবার তিনটা পদ্ধতি আছেঃ বাস, বিমান ও ট্রেন। এদের মাঝে বাস ও বিমানে করে সবচেয়ে কম সময়ে পৌছানো যায়। আপনি চাইলে অনলাইন ও অফলাইন দুভাবেই বাসের টিকেট কিনতে পারবেন। এছাড়া শেয়ারট্রিপের ফ্লাইট পেজের মাধ্যমে দেশের সেরা এয়ারলাইন্সে ডোমেস্টিক ফ্লাইটের টিকেট বুক করা যায়।
ঢাকা টু সিলেট বাস ভ্রমণ
বাসে ঢাকা টু সিলেট যেতে হলে হানিফ, শ্যামলী বা গ্রীন লাইনের টিকেট নিবেন। এদের কাউন্টারগুলোতে সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের বাস পাবেন। বাসের মান ও সুবিধা অনুযায়ী ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা খরচ পড়বে।
ঢাকা টু সিলেট বিমান ভ্রমণ
ঢাকা থেকে নভো এয়ার, এয়ার অ্যাস্ট্রা, ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের সিলেটগামী ফ্লাইট আছে। ঢাকা টু সিলেট বিমান ভাড়া সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু। অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়না। তবে মনে রাখবেন যে, ছুটির দিন বা বিশেষ মৌসুমে টিকেটের মূল্য ওঠানামা করবে।
শেয়ারট্রিপের সাথে আপনার সিলেট ভ্রমণ হোক আরও সহজ!
শহরের ব্যাস্ত কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে সিলেটে যে কেউই ঘুরে আসতে পারেন। সতেজ প্রকৃতির পাশাপাশি বিভিন্ন রেস্তারা, রিসোর্ট ও ভেন্যুর জন্য সিলেট বেশ জনপ্রিয়। এমনিতেই সারা শহরের মানুষ সৌখিন জীবনযাপন পছন্দ করে। সিলেটে হোটেল বুকিং করতে বা সিলেট ভ্রমণের যাকতীয় সকল তথ্যের জন্য ইমেইল করুন vacation@sharetrip.net এ অথবা কল করুন +8809617617617 নম্বরে।