ব্রিটিশ মিউজিয়াম, টাওয়ার অব লন্ডন বা ব্রিটিশ রয়েল প্যালেসের মতো চোখ ধাঁধানো নানা ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখতে লাখো পর্যটক ছুটে যান যুক্তরাজ্যে ( United Kingdom )। আর ইউকে ট্রিপ প্ল্যান করার শুরুতেই যে বিষয়টি লক্ষ রাখতে হয় তা হলো ভিসা। তবে ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি ব্যাপার হলো, শুধুমাত্র ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা থাকলেই আপনি নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারবেন বিশ্বের আরো ১৯টি দেশে! তাই ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা এবং ১৯টি দেশে ভ্রমণ সংক্রান্ত সব প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে থাকছে আমাদের আজকের ব্লগটি।
ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে কী কী যোগ্যতা ( Eligibility ) লাগে?
যেকোনো বাংলাদেশী নাগরিক চাইলে ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনার ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা যেভাবে ইস্যু করা হয়ঃ
মাল্টিপল এন্ট্রিঃ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে যতবার ইচ্ছা ততবার যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন।
আপনি যে দেশে ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন, সেখানের নিয়ম অনুযায়ী ভিসার ধরন নির্ধারণ করতে হবে; দেশভেদে এই তথ্যটি অবশ্যই পেয়ে যাবেন আজকের ব্লগে। ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য এলিজিবল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিম্নোক্ত বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবেঃ
- ভ্রমণ শেষে অবশ্যই আপনাকে যুক্তরাজ্য ত্যাগ করতে হবে
- ভ্রমণকালীন সময়ে অবশ্যই নিজেকে এবং ডিপেন্ডেন্ট ভিজিটরকে ( স্বামী/স্ত্রী এবং ১৮ বছরের কম বয়সী সন্তান ) সাপোর্ট দেওয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে
- ইউকে অবস্থান করার এবং সেখান থেকে রিটার্নের যাবতীয় খরচ বহন করার সক্ষমতা থাকতে হবেযদি আপনি ইউকে-তে কোনো ব্যবসা বা অন্যান্য কাজ করতে চান তার প্রমাণ আপনার কাছে থাকতে হবে
ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের জন্য কিছু বেসিক ডকুমেন্ট প্রয়োজন, তবে লক্ষ রাখতে হবে যেন প্রতিটি ডকুমেন্ট ভ্যালিড; অর্থাৎ বৈধ এবং নির্ভুল হয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের মূল ডকুমেন্টের চেকলিস্টঃ
- বৈধ পাসপোর্ট (অন্ততঃ ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে) এবং পুরানো পাসপোর্ট (যদি পূর্বে কোথাও ভ্রমণ করে থাকেন)
- ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ( National Identity Card ) কপি
- এয়ারটিকিট এবং হোটেল রিজার্ভেশনের কপি
- ম্যারেজ সার্টিফিকেট ( স্পাউসসহ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ) ইত্যাদি।
এছাড়া, পেশা অনুযায়ী আরো কিছু ডকুমেন্ট রয়েছে যা আপনাকে নির্ধারিত নিয়মে ভিসা এপ্লিকেশনের সাথে জমা দিতে হবে। ইউকে ভিসাসহ যেকোনো তথ্যের জন্য ব্রাউজ করুন www.sharetrip.net এবং ডাউনলোড করুন শেয়ারট্রিপ অ্যাপ। আমাদের কল করুন +8809617617617-এ আর জেনে নিন ট্রিপ, ফ্লাইট, হোটেল, প্যাকেজ ইত্যাদি নিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য।
ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা থাকলে বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে কোন কোন দেশ ঘুরে আসতে পারবেন ?
ইউরোপীয় দেশ (European Countries)
১। আলবেনিয়া
আলবেইনা ট্রিপে অবশ্যই যে প্লেসটি দেখা উচিত তা হলো আলবেনিয়ান রিভেরা (Albanian Riviera)। শুধু এটিই নয়, ইউরোপীয় এই দেশটির স্নিগ্ধতা উপভোগ করতে বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের নাগরিকরাই আলবেনিয়া ভ্রমণ করতে পারেন, আর সেক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে-
- যেকোনো ধরনের বৈধ এবং ব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ৯০ দিন পর্যন্ত
- ভিসাটি অবশ্যই ইউকে প্রবেশের জন্য কমপক্ষে একবার ব্যবহৃত হতে হবে
তথ্যসূত্রঃ Ministry of Foreign Affairs of Albania
২। জর্জিয়া
আর্ট, কালচার কিংবা ফুড- যেকোনো ক্ষেত্রেই জর্জিয়া আপনার মন জয় করে নিবে। ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের নাগরিকই জর্জিয়া যেতে পারবেন, আর সেক্ষত্রে আপনার যা যা লাগবে-
- যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ৯০ দিন পর্যন্ত। জর্জিয়া প্রবেশের সময় ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসাটি অবশ্যই বৈধ হতে হবে ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে একটানা (consecutive stays) ৯০ দিন পর্যন্ত জর্জিয়া থাকতে পারবেন। এরপর আবার জর্জিয়া যেতে হলে কমপক্ষে ৯০ দিনের বিরতি দিতে হবে। অর্থাৎ, মোট ১৮০ দিনের মধ্যে একটানা ৯০ দিনের বেশি জর্জিয়া থাকতে পারবেন না (ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে)
তথ্যসূত্রঃ Ministry of Foreign Affairs of Georgia
৩। জিব্রাল্টার (ব্রিটিশ টেরিটোরি)
প্রকৃতি, বিশেষ করে পাহাড়প্রেমীদের জন্য জিব্রাল্টারে আছে রক অব জিব্রাল্টার-এর মতো অনেকগুলো এক্সাইটিং স্পট, আর ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের নাগরিকই জিব্রাল্টার যেতে পারবেন। সেক্ষত্রে আপনার যা যা লাগবে-
- যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ১৮০ দিন পর্যন্ত
- ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসাটি কমপক্ষে ৬ মাস বা তার বেশি সময়ের জন্য ইস্যু করা থাকতে হবে
তথ্যসূত্রঃ Gibraltar Borders & Coastguards Agency
৪। মন্টিনিগ্রো
আকারে ছোট হলেও প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে উপভোগ করতে মন্টিনিগ্রো একটি অসাধারণ জায়গা। ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের নাগরিকই মন্টিনিগ্রো যেতে পারবেন, আর সেক্ষত্রে আপনার যা যা লাগবে-
- কোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ৩০ দিন পর্যন্ত
- মন্টিনিগ্রোতে থাকাকালীন সময়ে অবশ্যই উল্লিখিত ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসাটি বৈধ হতে হবে
তথ্যসূত্রঃ Government of Montenegro
Visit Montenegro
৫। উত্তর মেসিডোনিয়া (North Macedonia)
ন্যাচারাল ল্যান্ডস্কেপের ভিউ পেতে কিংবা কিছুটা সময় শহুরে জীবন থেকে ব্রেক নিতে উত্তর মেসিডোনিয়া ছুটে যান অনেক পর্যটক। ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের নাগরিকই উত্তর মেসিডোনিয়া যেতে পারবেন, আর সেক্ষত্রে আপনার যা যা লাগবে-
- যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ১৫ দিন পর্যন্ত
- উত্তর মেসিডোনিয়ায় থাকার কমপক্ষে ৫ দিন পর পর্যন্ত ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসাটির মেয়াদ থাকতে হবে
- ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে একটানা (consecutive stays) ৯০ দিন পর্যন্ত উত্তর মেসিডোনিয়া থাকতে পারবেন। এরপর আবার উত্তর মেসিডোনিয়া যেতে হলে কমপক্ষে ৯০ দিনের বিরতি দিতে হবে। অর্থাৎ, মোট ১৮০ দিনের মধ্যে একটানা ৯০ দিনের বেশি উত্তর মেসিডোনিয়া থাকতে পারবেন না (ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে)
তথ্যসূত্রঃ Ministry of Foreign Affairs of Macedonia
৬। সার্বিয়া
ইতিহাস এবং সংস্কৃতির এক অনন্য স্থান হিসেবে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি রয়েছে এই দেশটির। ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের নাগরিকই উত্তর মেসিডোনিয়া যেতে পারবেন, আর সেক্ষত্রে আপনার যা যা লাগবে-
- যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ৯০ দিন পর্যন্ত
- ভিসাটি সার্বিয়া থাকাকালীন পুরো সময়কালের জন্য বৈধ হতে হবে
- ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে একটানা (consecutive stays) ৯০ দিন পর্যন্ত সার্বিয়া থাকতে পারবেন। এরপর আবার সার্বিয়া যেতে হলে কমপক্ষে ৯০ দিনের বিরতি দিতে হবে। অর্থাৎ, মোট ১৮০ দিনের মধ্যে একটানা ৯০ দিনের বেশি সার্বিয়া থাকতে পারবেন না (ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে)
তথ্যসূত্রঃ Ministry of Foreign Affairs of Serbia
Embassy of Serbia in New Delhi, India
৭। তুরস্ক
ইস্তানবুল, আয়া সোফিয়া, কাপ্পাডোসিয়া (Cappadocia) কতটা সুন্দর, তার একটি ধারণা পাওয়া যায় এই স্পটগুলোর নানা ছবি এবং ভিডিও দেখে। ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে এই দেশ ঘুরে আসতে যা লাগবে-
- যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা থাকলেও তুরস্ক ভ্রমণ করতে হলে আপনাকে তুরস্কের ই-ভিসা নিতে হবে। তুরস্কের ই-ভিসা ফি ৪৩ ডলার ( ফি এর পরিমাণ নানা কারণে পরিবর্তিত হতে পারে)। এটির মেয়াদ ১৮০ দিন এবং এটি সিঙ্গেল এন্ট্রির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ৩০ দিন পর্যন্ত
তথ্যসূত্রঃ Ministry of Foreign Affairs of Turkey
আফ্রিকা (Africa)
৮। মিশর
মিশরের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঊটের বহর আর সারিবাঁধা খেজুরের গাছের এক চমৎকার দৃশ্য; আর ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা থাকলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশের পর্যটকগণ এই দৃশ্য উপভোগ করতে পারবে। আর সেজন্য যা যা নিশ্চিত করতে হবে, তা হলো-
- যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ৩০ দিন পর্যন্ত
- ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা থাকলেও মিশর প্রবেশের আগে যেকোনো ইন্টারন্যাশনাল ‘ভিসা অন এরাইভাল’ (Visa On Arrival বা VOA )’ নিতে হবে। অর্থাৎ মিশর প্রবেশের ঠিক আগে আপনাকে ভিসাটি নিতে হবে, আগে থেকে পাসপোর্টে ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভিসাটির ফি দেশভেদে আলাদা হয়ে থাকে
- ভিসাটি অবশ্যই ইউকে প্রবেশের জন্য কমপক্ষে একবার ব্যবহৃত হতে হবে
তথ্যসূত্রঃ Egypt Tourism Department
Egypt Independent
৯। মরক্কো
ঝকঝকে মসজিদ-মিনার এবং ঐতিহাসিক নানা নিদর্শনে সমৃদ্ধ একটি দেশ মরক্কো। আফ্রিকা মহাদেশের এই দেশটিতে ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের নাগরিকই ঘুরে আসতে পারবেন, আর সেক্ষত্রে আপনার যা যা লাগবে-
- যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ৩০ দিন পর্যন্ত
- ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা থাকলেও মরক্কো প্রবেশের আগে আপনাকে ‘ভিসা অন এরাইভাল’ (Visa On Arrival বা VOA) নিতে হবে। অর্থাৎ মরক্কো প্রবেশের ঠিক আগে আপনাকে ভিসাটি নিতে হবে, আগে থেকে পাসপোর্টে ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভিসাটির ফি দেশভেদে আলাদা হয়ে থাকে
- ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসাটি মরক্কো প্রবেশের দিন থেকে কমপক্ষে ৯০ দিনের জন্য ভ্যালিড হতে হবে
তথ্যসূত্রঃ Morocco E-Visa Portal
Morocco World News
মধ্যপ্রাচ্য (Middle East)
১০। বাহরাইন
মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলোর তালিকায় অন্যতম স্থানে রয়েছে বাহরাইন। ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের নাগরিকই বাহরাইনের আভিজাত্য উপভোগ করতে পারবেন। এজন্য যা যা লাগবে-
- যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ১৪ দিন অথবা ৩০ দিন পর্যন্ত, অর্থাৎ একটানা আপনাকে ১৪ দিন কিংবা ৩০ দিন বাহরাইন থাকতে পারবেন
- ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা থাকলেও বাহরাইনে প্রবেশের আগে ‘ভিসা অন এরাইভাল’ (Visa On Arrival বা VOA )’ নিতে পারবেন। অর্থাৎ বাহরাইনে প্রবেশের ঠিক আগে আপনাকে ভিসাটি নিতে হবে, আগে থেকে পাসপোর্টে ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভিসাটির ফি দেশভেদে আলাদা হয়ে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ Bahrain eVisa Portal
১১। সৌদি আরব
ঐতিহ্য এবং আভিজাত্যের লীলাভূমি হিসেবে সৌদি আরবের খ্যাতি রয়েছে বিশ্ব জুড়ে। তাই ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে এই দেশটি ঘুরে আসতে পারবেন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশের নাগরিক। আর সেজন্য যা যা লাগবে, তা হলো-
- ট্রানজিট ভিসা ছাড়া যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ৯০ দিন পর্যন্ত
- ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা থাকলেও সৌদি আরব প্রবেশের আগের আপনাকে ‘ভিসা অন এরাইভাল’ (Visa On Arrival বা VOA ) নিতে হবে। অর্থাৎ সৌদি আরব প্রবেশের ঠিক আগে আপনাকে ভিসাটি নিতে হবে, আগে থেকে পাসপোর্টে ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভিসাটির ফি দেশভেদে আলাদা হয়ে থাকে।
- ভিসাটি অবশ্যই ইউকে প্রবেশের জন্য কমপক্ষে একবার ব্যবহৃত হতে হবে
তথ্যসূত্রঃ Embassy of Saudi Arabia in London, UK
Saudi Arabia Tourism Authority
উত্তর আমেরিকা (North America)
১২। মেক্সিকো
অথেনটিক মেক্সিকান ফুড এবং সেখানকার অসাধারণ ট্যুরিস্ট স্পটগুলো উপভোগ করতে ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে সহজেই ঘুরে আসতে পারেন মেক্সিকো। সেজন্য প্রয়োজন-
- বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- ভ্যালিড পাসপোর্ট
এছাড়াও ভ্রমণের উদ্দেশ্য, ট্রিপের দৈর্ঘ্য অর্থাৎ কতদিন থাকছেন, মেক্সিকোতে কোনো নির্দিষ্ট কাজ ইত্যাদিও এন্ট্রির ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্রঃ National Institute of Migration, Mexico
মধ্য আমেরিকা (Central America)
১৩। পানামা
পানামা খাল-এর নাম শোনেন নি, এমন পর্যটক হয়তো খুব কম আছেন। নানা ধরনের কার্নিভ্যাল এবং আনুষ্ঠানিকতার জন্য খ্যাত এই দেশে ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে ভ্রমণ করতে লাগবে-
- বৈধ, ব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেডের সময়সীমা ৩০ দিন
- ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসাটি অন্ততঃ একবার ইউকে প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত হতে হবে
- পাসপোর্ট আগমনের দিন থেকে কমপক্ষে ৩ মাসের জন্য বৈধ হতে হবে
- আর্থিক স্বচ্ছলতার (ন্যূনতম ৫০০ USD) প্রমাণ দেখাতে হবে
তথ্যসূত্রঃ Embassy of Panama in the USA
ক্যারিবিয়ান দেশ ( Caribbean Countries)
১৪। অ্যাঙ্গুইলা ( ব্রিটিশ টেরিটোরি )
সাগরপ্রেমীদের জন্য ক্যারিবিয়ান এই দেশটি যেন এক স্বর্গরাজ্য। মাইলের পর মাইল প্রসারিত চিকচিকে সাদা বালির এমন দ্বীপ মুগ্ধ করবে যেকোনো পর্যটককে। ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসায় অ্যাঙ্গুইলা ভ্রমণ করতে আপনার লাগবে-
- যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা এবং
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ৯০ দিন পর্যন্ত
তথ্যসূত্রঃ The Government of Anguilla
১৫। অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা
অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা মূলত তিনটি দ্বীপ এবং ৩৬৫টির-ও বেশি বীচ নিয়ে গঠিত একটি ক্যারিবিয়ান দেশ। তাই সমুদ্রবিলাস কিংবা ওয়াটার স্পোর্টস- সবক্ষেত্রেই এটি ট্যুরিস্টদের জন্য বেশ আনন্দদায়ক। অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা ভ্রমণে আপনার যা লাগবে-
- যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ৩০ দিন পর্যন্ত
- ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ অন্ততঃ ৬ মাস হতে হবে ( অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডাতে প্রবেশের দিন থেকে)
- পাসপোর্টের মেয়াদ অন্ততঃ ৬ মাস হতে হবে ( অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডাতে প্রবেশের দিন থেকে)
- ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা থাকলেও অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা প্রবেশের আগে আপনাকে ‘ভিসা অন এরাইভাল’ (Visa On Arrival বা VOA )’ নিতে হবে। অর্থাৎ অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা প্রবেশের ঠিক আগে আপনাকে ভিসাটি নিতে হবে, আগে থেকে পাসপোর্টে ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভিসাটির ফি দেশভেদে আলাদা হয়ে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ Department of Immigration, Antigua and Barbuda
১৬। বোনায়ার (ডাচ টেরিটোরি)
ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর মধ্যে বোনায়ারের খ্যাতি আছে এর অসাধারণ বীচ এক্সপেরিয়েন্সের জন্য। ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের নাগরিকই বোনায়ার যেতে পারবেন, আর সেক্ষত্রে আপনার যা যা লাগবে-
- যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ৯০ দিন পর্যন্ত
তথ্যসূত্রঃ The Netherlands and You
১৭। ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস (ব্রিটিশ টেরিটোরি)
ক্যারিবিয়ান সাগর এবং আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জে রয়েছে এক্সটিক বীচ হলিডের সব আয়োজন। ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের নাগরিকই ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড যেতে পারবেন, আর সেক্ষত্রে আপনার যা যা লাগবে-
- যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- আপনার ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসাটি ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস আসার দিন থেকে কমপক্ষে 6 মাসের জন্য বৈধ হতে হবে
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ১৮০ দিন পর্যন্ত
তথ্যসূত্রঃ British Virgin Islands Tourism
১৮। কুরাকাও
কুরাকাও একটি চমৎকার দ্বীপ, আর এটির ক্যাপিটাল উইলেমস্ট্যাড ভিজিট করলে আপনি উপভোগ করতে পারবেন ডাচ এবং ক্যারিবিয়ান সংস্কৃতির এক অভিনব ব্লেন্ড। ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের নাগরিকই কুরাকাও যেতে পারবেন, আর সেক্ষত্রে আপনার যা যা লাগবে-
- যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
- এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ৯০ দিন পর্যন্ত
তথ্যসূত্রঃ Curaçao Tourism
১৯। ডোমিনিকান রিপাবলিক
সান্তো দোমিঙ্গো, পান্তা কানা-এর মতো রিসোর্ট এরিয়ায় সময় কাটাতে চাইলে ডোমিনিকান রিপাবলিক হতে পারে একটি আদর্শ চয়েজ।ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের নাগরিকই ডোমিনিকান রিপাবলিক ঘুরে আসতে পারবেন। সেজন্য যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে, তা হলো-
-
ট্রানজিট ভিসা ছাড়া যেকোনো ধরনের বৈধ ব্যবহৃত/অব্যবহৃত মাল্টিপল-এন্ট্রি ইউকে ট্যুরিস্ট ভিসা
এন্ট্রি গ্রান্টেড থাকবে ৯০ দিন পর্যন্ত
স্থলপথে (by road) এবং সমদ্রপথে (জাহাজ বা এই জাতীয় বাহনে) ভ্রমণের ক্ষেত্রে ডোমিনিকান রিপাবলিক পৌঁছানোর সাথে সাথেই আপনাকে ২০ ডলার মূল্যের একটি ট্রাভেল কার্ড কিনতে হবে। তবে বিমানে ভ্রমণ করলে এই ২০ ডলার আপনার এয়ারফেয়ারের মধ্যে যোগ করা থাকবে।
পাসপোর্টের মেয়াদ অন্ততঃ ৬ মাস হতে হবে ( ডোমিনিকান রিপাবলিকে এন্ট্রির দিন থেকে)
তথ্যসূত্রঃ
Embassy of the Dominican Republic in the
Embassy of the Dominican Republic in the US
Ministry of Tourism of Dominican Republic
সব তথ্য জেনে নেওয়ার পর এবার ঘুরে আসুন আপনার পছন্দের দেশে আর উপভোগ করুন প্রিয় স্পটগুলোর অসাধারণ নান্দনিকতা। আপনার ট্রিপের সব ধরনের আয়োজনে আপানার সাথে আছে শেয়ারট্রিপ।